নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বিদেশে প্রেরণের পূর্বে রপ্তানি পণ্য চুরি চক্রের মূলহোতাসহ বিপুল পরিমান গার্মেন্টস পণ্য ও ৫ জন চোরাকারবারীকে ফেনী জেলা হতে আটক করেছে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম।
বাংলাদেশের অথনৈতিক উন্নয়নে গার্মেন্টস শিল্প উল্লেগ্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। সুনামের ধারাবাহিকতাকে বিনষ্ট করতে কিছু অসাদু চোরাকারবারী চক্র গার্মেন্টস শিল্পের মালামাল বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্যে পরিবহনের সময় নির্দিষ্ট স্থানে পৌছানোর পূর্বেই পথিমধ্যে সুবিধামত জায়গায় অবস্থান নিয়ে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মালামাল সরিয়ে নিচ্ছে মর্মে অভিযোগ পূর্বে কয়েকবার র্যাব-৭, চট্টগ্রাম কর্তৃক গৃহীত হয়। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম চোরাকারবারী চক্রকে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে ব্যাপক গোয়েন্দা নজরধারী চালায়।
গোয়েন্দা নজরধারীর এক পর্যায়ে র্যাব-৭, চট্টগ্রাম গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারে যে, ঢাকা গার্মেন্টস লিঃ এর রপ্তানিযোগ্য গার্মেন্টস শিল্পের পণ্য নিয়ে একটি কাভার্ডভ্যান বিদেশে রপ্তানির জন্য চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা করে। কিন্তু উক্ত কাভার্ডভ্যানটি চট্টগ্রামে না এসে পথিমধ্যে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানাথীন ধুমঘাট বিসিক শিল্প এলাকায় সংঘবদ্ধ চোরাকারবারীর চক্রের কাছে বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
উক্ত সংবাদের ভিত্তিতে গত ২৪ ডিসেম্বর সাড়ে ৭টার র্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর একটি আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করলে র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে র্যাব সদস্যরা ধাওয়া করে আসামি ১। মোঃ আল আমিন (২৮) (হেলপার), পিতা- মোঃ সিরাজুল হক, সাং- দক্ষিণ ভাটামাড়া, থানা- বোরহান উদ্দিন, জেলা- ভোলা, ২। মোঃ নিজাম (২২), পিতা- মোঃ মালেক, সাং- কুতবা, থানা- বোরহান উদ্দিন, জেলা- ভোলা, ৩। মোঃ শাহজাহান (৫১), পিতা- মৃত সুলতান আহম্মদ, সাং- নিজকুঞ্জরা, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী, ৪। মোঃ মাইনুল হাসান আসিক (২০), পিতা- মৃত নিজাম উদ্দিন, সাং- নিজকুঞ্জরা, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী এবং ৫। মোঃ নূরন নবী (২৬), পিতা- মোঃ কামাল উদ্দিন, সাং- নিজকুঞ্জরা, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনী’দেরকে আটক করে। এসময় মোঃ জোবায়ের পারভেজ (৩০), পিতা- আবু তাহের, সাং- নিজকুঞ্জরা, থানা- ছাগলনাইয়া, জেলা- ফেনীসহ অজ্ঞাতনামা আরও ০৪ জন আসামী পালিয়ে যায়।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে বিপুল পরিমান গার্মেন্টস পণ্যসহ উক্ত কার্ভাডভ্যানটি (ঢাকা মেট্টো-ট- ২০-৩৯৪২) জব্দ করা হয়। আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ গার্মেন্টস এর তৈরিকৃত পোশাক পরস্পর যোগসাজসে বিদেশে রপ্তানী করার পূর্বে প্রতি কার্টন থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক পিস রেখে দিয়ে আবার নতুনভাবে কার্টনজাত করে বিদেশে রপ্তানী করার মাধ্যমে প্রতারণা করে আসছে। সংঘবদ্ধ চোরাকারবারী চক্রকে আটকের পর পরিবহন মালিক সমিতি ও তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকগণ স্বস্তি প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য যে, উক্ত চোরাকারবারীদের কারণে গার্মেন্টস শিল্পের বৈদেশিক বানিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিন যাবৎ বিঘœ হয়ে আসছে।
গ্রেফতারকৃত আসামী ও উদ্ধারকৃত আলামত সংক্রান্তে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের নিমিত্তে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন র্যাব ৭ এর সহকারী মিডিয়া পরিচালক নিয়াজ মোহাম্মদ চপল৷